,

পুরস্কারের চেয়ে ভালোবাসাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ -চঞ্চল চৌধুরী

সময় ডেস্ক : সময়টা ভালোই যাচ্ছে নন্দিত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর। একের পর এক প্রাপ্তি যুক্ত হচ্ছে তাঁর ক্যারিয়ারে। তৃতীয়বারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন এ অভিনেতা। এ খুশির খবরের রেশ কাটতে না কাটতেই তিনি উড়াল দিলেন লন্ডনে। সেখানে ছিল তাঁর অভিনীত সিনেমা ‘পদাতিক’-এর প্রথম প্রদর্শনী। এ অভিনেতার সঙ্গে যখন কথা হয়, তখন সেখানেই অবস্থান করছিলেন। নানাব্যস্ততায় কাটছিল তাঁর সময়।
এর আগে দুইবার জাতীয় চলিচ্চত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এবারের অর্জনকে কি আলাদা মনে হয়েছে? এমন প্রশ্নে চঞ্চলের উত্তর,“প্রথম সবকিছু তুলনাহীন। প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে একটু বেশি খুশি হয়েছিলাম। তখন বাবা বেঁচে ছিলেন। পুত্রের এ প্রাপ্তিতে হয়েছিলেন ভীষণ খুশি। তাঁর চোখেমুখে ছিল হাসির ঝিলিক। দেখুন, যে কোনো পুরস্কার পেলেই ভালো লাগে; কাজের স্বীকৃতি। দ্বিতীয়বার প্রাপ্তিও ক্যারিয়ারে নতুন পালক যুক্ত করেছে। ‘আয়নাবাজি’ দর্শকের কাছে আমাকে নতুনভাবে তুলে ধরেছে। আর পরপর তিনবার পুরস্কার প্রাপ্তির আনন্দই আলাদা। ‘হাওয়া’ পুরস্কারের আগে আমি সিনেমাটি দিয়ে দর্শকের যে ভালোবাসা পেয়েছি, তা আমার কাছে পুরস্কারের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের কাছ থেকেও প্রশংসা এসেছে। দেশের পাশাপাশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও অভিনয়ে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন চঞ্চল চৌধুরী। বিখ্যাত ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক মৃণাল সেনকে নিয়ে‘পদাতিক’ সিনেমা নির্মাণ করেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। সিনেমার প্রধান চরিত্রের অভিনয়শিল্পী হিসেবে চঞ্চল গত ২ নভেম্বর লন্ডনের ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে হাজির হয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন নির্মাতা সৃজিতও।
প্রথমবার প্রদর্শিত হয়েছে সিনেমাটি। উৎসবে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা নিয়ে চঞ্চল শেয়ার করলেন এভাবে “উৎসবটি আমার কাছে ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মৃণাল সেন বিখ্যাত ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক। এরকম একজন মানুষের চরিত্রে অভিনয় করাটা আমার জন্য বড় পাওয়া। উৎসবে সবার সঙ্গে বসে ‘পদাতিক’ প্রথম দেখেছি। যেখানে সিনেমাটি প্রদর্শিত হয়েছে, সে মিলনায়তন ছিল দর্শকে ঠাসা । সবাই বেশ প্রশংসা করেছেন। সিনেমাটি এখনও মুক্তি পায়নি। আশা করছি, এটি দর্শকের কাছে ভালো লাগবে।’
সিনেমা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘সিনেমাটির শুটিংয়ের সময় আমি কঠিন সময় পার করেছি। দৃশ্যধারণের কিছুদিন আগে আমার বাবা পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরলোকে পাড়ি জমান। এটি সৃজিত জানতেন। কাজেই শুটিং চলাকালীন যেরকম মানসিক সাপোর্ট তিনি দিয়েছেন, সত্যিই তা সারাজীবন মনে রাখার মতো।’
চলচ্চিত্রের বাইরে চঞ্চল অভিনীত ওয়েব কনটেন্টগুলো দুই বাংলার দর্শকরা বেশ গ্রহণ করছেন। এখন সিনেমার চেয়েওয়েব মাধ্যমেই তাঁর ব্যস্ততা বেশি। বর্তমানে ওয়েবের জন্য নতুন কিছু কাজের পরিকল্পনা করছেন, এরকমই আভাস দিলেন এই তারকা অভিনেতা।


     এই বিভাগের আরো খবর